রাজশাহী ব্যুরো ॥ রাজশাহী বিভাগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। এদের মধ্যে ৫২ জন শনাক্ত হয়েছেন বগুড়ায়। বগুড়ায় জেলা এখন করোনার হটস্পট।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বগুড়ায় এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪০ জন। জেলার ৪০ করোনা আক্রান্ত এখন হাসপাতালে। করোনা জয় করেছেন ২৬ জন। করোনায় প্রাণ গেছে বগুড়ায় একজনের।
জয়পুরহাট জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৬ জনের। জেলার ১৫৭ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৭০ জন। নওগাঁয় বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য গত ৭২ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে কারো করোনা ধরা পড়েনি। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার ৬ জন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন।
রাজশাহীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কেউ শনাক্ত হননি। এখানকার ৮ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর করোনা জয় করেছেন এখানকার ১১ জন। তবে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজশাহীর দুইজন।
নতুন করে দুইজনের করোনা ধরা পড়ায় নাটোরে আক্রান্ত দাঁড়ালো ৫৪ জন। করোনা জয় করেছেন এখানকার ৯ জন। করোনায় মারা গেছেন একজন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাটি এখন ৫২। তবে করোনা জয় করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ জন। হাসপাতালে আছেন ৮ জন।
এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে ২৫ জন এবং পাবনায় ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে একজনের প্রাণ গেছে করোনায়। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন। এখনও হাসপাতালে আছেন একজন। আর পাবনায় সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। ১ জন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩৬ হাজার ৯১৫ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৯ হাজার ৮১৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫৬০ জনকে। এদের ৫০০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৪৪৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০৪ জন।গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিভাগে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্ত হলো ৭২৩ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২১ জন। করোনায় প্রাণ গেছে এ পর্যন্ত ৫ জনের। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন আট জেলার ১৯০ জন।
Leave a Reply